ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তারাগঞ্জের মাহমুদুল সফল দুগ্ধ খামারি, অনুপ্রেরণার প্রতীক

ডেস্ক রিপোর্টার
অক্টোবর ২৩, ২০২৫ ২:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ ডাক্তারপাড়া গ্রামের ৩৫ বছরের তরুণ মাহমুদুল হাসান এখন এলাকার গর্ব। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেও চাকরির পেছনে না ছুটে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের খামার ‘মাহমুদুল ডেইরি ফার্ম’।

দৃঢ় মনোবল, পরিশ্রম আর দূরদৃষ্টির ফলে আজ তিনি সফল দুগ্ধ খামারি হিসেবে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।

প্রতিদিন তার খামার থেকে সংগ্রহ করা হয় ৭০ থেকে ৮০ লিটার দুধ। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে সেই দুধ যাচ্ছে ব্র্যাক আড়ং ডেইরি চিলিং সেন্টার ও ডেইরি মিল্ক ক্রয় কেন্দ্রে। পাশাপাশি মাংস উৎপাদনের জন্য গরু মোটাতাজাকরণেও মনোযোগ দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২০টি গরু, এর মধ্যে ১০টি নিয়মিত দুধ দিচ্ছে।

স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি মাহমুদুল চারজনকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন স্থায়ীভাবে কাজ করছেন।

২০০৮ সালে এইচএসসি পাশের পর চাকরি না পেয়ে বাবার সহায়তায় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাত্র দুটি বিদেশি জাতের গাভী কিনে শুরু করেন তার উদ্যোগ। সেই দুই গাভী থেকেই প্রতিদিন ২২–২৪ লিটার দুধ বিক্রি করে প্রথম সাফল্য পান। এরপর থেকে থেমে থাকেননি, ধীরে ধীরে বাড়িয়েছেন গরুর সংখ্যা, বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞতা ও পরিসর।

২০১৫ সালে যুব উন্নয়ন বিভাগের পরামর্শ নেন মাহমুদুল। পরের বছর “দুগ্ধ খামার ও গরু মোটাতাজাকরণ” বিষয়ে তিন মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং পান এক লাখ টাকার ঋণ। সেই অর্থে ক্রয় করা গাভী যুক্ত হয় খামারে, যা তার ফার্মকে আরও লাভজনক করে তোলে। বর্তমানে তার বিনিয়োগ পুরোপুরি ফেরত এসেছে; এখন খামারটি টেকসই মুনাফার পর্যায়ে রয়েছে।

তবে খামার পরিচালনায় কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। মাহমুদুল বলেন,
ছয় বছর আগে যে দামে দুধ বিক্রি করতাম, এখনও সেই দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ পশুখাদ্যের দাম তিনগুণ বেড়েছে। তাই খামারিদের ন্যায্য দুধের মূল্য নিশ্চিত করা খুব জরুরি।

নিজস্ব ৬০ শতাংশ জমিতে তিনি নেপিয়ার ও পাকচুং জাতের ঘাস চাষ করেন। পাশাপাশি গোবর দিয়ে স্থাপন করেছেন বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, যার মাধ্যমে পরিবার ও খামারের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করছেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মাহমুদুল বলেন,
আমার লক্ষ্য ফার্মটিকে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন করে ৫০টি গরু রাখার সক্ষমতা তৈরি করা। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৪৬ বর্গফুটের একটি টিনশেড তৈরি করেছি।

তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে. এম. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন,
মাহমুদুল এখন স্থানীয় যুবকদের অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাকে অনুসরণ করে অনেক তরুণ এখন চাকরির পরিবর্তে খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।