লালমনিরহাট প্রতিনিধি:লালমনিরহাটে আখ চাষে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া। দিন দিন আখ চাষীদের সংখ্যা বাড়ছে। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় ভাল দামও পাচ্ছেন চাষীরা। আখ চাষ করে উৎপাদন ব্যয় উঠিয়ে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় চাষীদের মুখে হাঁসি ফুটেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে আখ চাষীদের সংখ্যা বাড়াতে সরকারি প্রকল্প ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জানা গেছে,অন্যান্য জেলার তুলনায় লালমনিহাটের আখ চাষের সংখ্যা খুবই কম। কয়েক বছর থেকে আখের দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে। উচু জমি ও বেলে-দোয়াশ মাটিতে আখ চাষে উপযুগী।
এদিকে লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী এলাকার আখ চাষী আব্দুল মান্নান দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে শুরু করেন আখ চাষ। গত বছর দুই বিঘা জমিতে ১ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আখ বিক্রি করেন এতে দ্বিগুণ লাভবান হন। চলতি বছরেও তার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তার আখ ক্ষেতে বিভিন্ন জাতের আখ রয়েছে। বর্তমানে বাজারগুলোতে প্রতি পিস আখ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। চিবিয়ে খাওয়া ও গুর তৈরীর জন্য জনপ্রিয় এই আখ।
কৃষকরা বলছেন,এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি বেশি দাম পাওয়ায় খুশি হয়েছেন চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে লালমনিহাটের পাঁচ উপজেলায় ৭ শত হেক্টর জমিতে আখ চাষাবাদ হয়েছে। এবছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার হেক্টর জমি।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষি অফিসার শামীমা ইয়াসমিন বলেন,আখ একটি অর্থকরী ফসল। দিন দিন আখ চাষ হারিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু গত দুই বছর থেকে আখ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লালমনিহাটের প্রতিটি উপজেলায় আছ চাষ হচ্ছে। চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
